
তাইল্যান্ডের রাজনীতিতে চরম আলোড়ন। ফাঁস হওয়া একটি ফোন কলকে কেন্দ্র করে তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতোঙ্গটার্ন শিনাবাত্রাকে বরখাস্ত করল সে দেশের সাংবিধানিক আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ করা হয়। সূত্র অনুযায়ী, সীমান্ত সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে শিনাবাত্রা নাকি পড়শি দেশের এক নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। সেখানে তিনি ওই নেতাকে ঘনিষ্ঠভাবে ‘আঙ্কল’ বলে সম্বোধন করেন এবং যেকোনও ধরনের সহযোগিতা চাইতে অনুরোধ করেন।

রাজনৈতিক মহল ও বিরোধী শিবির অভিযোগ তোলে, এই ফোনালাপ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি। ইতিমধ্যেই জুলাই মাসে আদালত তাঁকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করেছিল। তবে এবার সরাসরি বরখাস্তের রায় ঘোষণা করা হলো। ফলে আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে তাইল্যান্ডের রাজনীতি।
শিনাবাত্রার সমর্থকরা দাবি করছেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। তবে বিরোধীদের বক্তব্য, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা ভুলে গিয়ে শত্রুপক্ষের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার পর তাইল্যান্ডে নতুন করে ক্ষমতার লড়াই আরও তীব্র হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


















