
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ‘আরএসএসের ১০০ বছরের যাত্রা: নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক তিন দিনের অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভারতের জনসংখ্যা নীতি অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারে তিন সন্তান থাকা উচিত। তিনি উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যার বৃদ্ধি বিশ্বপর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে এবং দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য পরিবার পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। ভাগবত বলেন, “জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য ২.১ সন্তান। তবে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব, তাদের পরিবারে যেন তিনটি সন্তান থাকে।” তিনি এই নীতি বাস্তবায়নে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন এবং নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের পথে এগোতে হবে বলে মনে করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবারের পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগও প্রয়োজন। জনসংখ্যা সংক্রান্ত এই বিতর্ক ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী অবসর প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বয়স ৭৫ হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এমন অবস্থায় ফের সরগরম জাতীয় রাজনীতি। প্রশ্ন উঠছে— লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলি মনোহর জোশীদের মতোই কি এবার বয়সের কারণে মোদি সরে দাঁড়াবেন? কয়েক মাস আগে মোহন ভাগবতের একটি বক্তব্যে এই বিতর্ক আরও জোরালো হয়েছিল। তাঁর মন্তব্য ছিল, “বয়স ৭৫ হলে থেমে যাওয়া উচিত।” রাজনৈতিক মহল ধরে নিয়েছিল, এটি সরাসরি মোদিকে উদ্দেশ্য করেই বলা। তবে এবার ভাগবত নিজেই পরিষ্কার জানালেন, তিনি কাউকে অবসর নিতে বলেননি। তাঁর দাবি, ওই মন্তব্য ছিল সাধারণ বক্তব্য, বিশেষ কারও প্রতি নয়। তবে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এই ইস্যু নিয়ে বিজেপিকে ঘিরে তোপ দাগছে। বিজেপি শিবির অবশ্য বলছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে চলেছে এবং অবসর নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ভাগবতের ব্যাখ্যা সত্ত্বেও রাজনৈতিক মহলে নতুন করে শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। ৭৫-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মোদির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়েই এখন দেশের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।














