ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুর সহ বিশ্বব্যাপী সমস্ত শাখাকেন্দ্রে শ্রীমতি রাধা রানীর শুভ আবির্ভাব তিথি মহোৎসব যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও রীতি নীতি মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাঁকজমক সহকারে পালন করা হচ্ছে । এ বছর ৩১ শে আগস্ট রবিবার ২০২৫ শ্রীমতি রাধারানীর আবির্ভাব মহোৎসব পালন করা হল ।মন্দির প্রাঙ্গণ ফুল ও আলোকমালায় সুসজ্জিত করা হয়েছে । জাতী,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে দেশ বিদেশের বহু ভক্ত এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন বলে ইসকন সূত্রে খবর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গনে।

রাধা এবং কৃষ্ণ এক ও অভিন্ন। দুই-এ এক, একে দুই, দুইজনেই সমান।যেমন দুধ এবং তার ধবলত্ব, অগ্নি এবং তার দাহিকা শক্তি, শক্তি এবং শক্তিমান অভেদ করা যায় না তদ্-রূপ রাধা কৃষ্ণ এক আত্মা, দুই তনু ধারী। ভগবান যুগে যুগে ধরাধামে অবর্তীর্ণ হন লীলা বিলাসের জন্য।যেমন ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র লীলাসঙ্গিনী রূপে সীতাদেবীকে নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তদরূপে দ্বাপরে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমতি রাধারানীকে নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ত্রিতাপদগ্ধ দু:খ জ্বালায় জর্জ্জরিত জীবের নিজ স্বরূপ ভ্রষ্ট জীবসমূহকে পরম অমৃতময় পথের সন্ধান দিতে ৫২৫২ বছর আগে শ্রীমতি রাধারানী ভাদ্রমাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে সোমবার মধ্যাহ্নকালে রাভেল নামক গ্রামে বৃষভানু রাজার গৃহে কীর্তিদা দেবীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

শ্রীকৃষ্ণের প্রতি রাধারানীর অহৈতুকি ভালবাসা তাঁর প্রতি যে আকর্ষণ সেটি ছিল বিশুদ্ধ প্রেম।বর্তমান বিশ্বসংকটে নর নারীর যৌথ মিলিত শক্তিতে নব জাগরণ ঘটুক মানব সমাজে। রাধারানীর জীবন- আদর্শ ও শিক্ষার প্রসার ঘটুক সমাজ জীবনে। একমাত্র মাতৃ শক্তির প্রকৃত উন্মেষই দিতে পারে আলোর সন্ধান।














