
পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার মলানদিঘীর সরস্বতীগঞ্জে একের পর এক গবাদি পশুর মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত কয়েক দিনে অজানা কারণে গরুর মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে হঠাৎ করেই। স্থানীয়দের দাবি, ইতিমধ্যেই ১৪টি গরু মারা গেছে। তবে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০টি গরুর।
এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতা থেকে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিশেষজ্ঞ দল পৌঁছায়। অসুস্থ গরু এবং মৃত গরুর শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্ল্যাক কোয়ার্টার নামক ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণেই মৃত্যু হচ্ছে গরুগুলির। হঠাৎ জ্বর, পেশীতে ফোলা বিশেষ করে বাছুরদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দিচ্ছে, আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ পাত্র জানান, “এখনো পর্যন্ত আমাদের গ্রামে ১৪টি গরু মারা গেছে। একের পর এক মৃত্যুতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। এখন চিকিৎসা চলছে।”
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডেপুটি ডিরেক্টর অনির্বাণ ঘোষ বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বুধবার একটি টিম পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০ গরুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকেও বিশেষজ্ঞরা এসে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতেও আগামী কয়েক দিন ধরে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। নতুন করে যাতে আর কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নজরদারি ও ক্যাম্প চালানো হচ্ছে।”
এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ কুলদীপ সরকার জানান, “খবর রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কাছে পৌঁছাতেই তিনি বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন। রাজ্য থেকেও টিম এসেছিল। আমাদের পক্ষ থেকেও নজরদারি চলছে।”
গ্রামবাসীরা আশাবাদী, দ্রুত পদক্ষেপে গবাদি পশুর মৃত্যুর এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে গ্রাম।














