
পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি থানার দাদপুর গ্রামে হঠাৎই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দামোদর নদ থেকে উদ্ধার হলো এক দেবী মূর্তি, যা স্থানীয়দের অনুমান অনুসারে হিন্দু দেবী দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপ। শনিবার রাতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবকই প্রথম মূর্তিটির খোঁজ পান।
সেদিন রাতে জাল ফেলে মাছ ধরার সময় হঠাৎ তাদের পায়ে অস্বাভাবিক কিছু ঠেকে। টর্চের আলো ফেলতেই তারা দেখতে পান জালে আটকে রয়েছে একটি পাথরের মূর্তি। অন্ধকার রাত এবং ধর্মীয় ভক্তির কারণে মূর্তিটি আর হাত না দিয়ে স্থানীয় যুবকেরা সেটিকে নদীর ধারে রেখে দেন। রবিবার সকালে পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি নদী থেকে তোলা হয়।
এরপর গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে দেবীর মূর্তিটি দাদপুরের একটি স্থানীয় মন্দিরে স্থাপন করেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের গ্রাম থেকেও বহু মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন। উৎসুক মানুষের ভিড়ে এলাকা হয়ে ওঠে সরগরম। অনেকেই নদী থেকে মূর্তি উদ্ধারের ঘটনাকে অলৌকিক বলে মনে করছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশও সেখানে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। তবে মূর্তিটি যেভাবে নদীতে এলো, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। অনেকের অনুমান, সম্ভবত দুর্গাপূজা বা বিসর্জনের সময় ভুলবশত বা অন্য কোনো কারণে মূর্তিটি নদীতে আটকে যায়। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রাচীন কোনো মন্দির বা ঘাটের ভাঙন থেকেই এটি ভেসে আসতে পারে।

স্থানীয় যুবকেরা জানিয়েছেন, মূর্তিটিকে হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পূজা-অর্চনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। গ্রামবাসীদের মধ্যে এ নিয়ে ভক্তি ও উৎসাহ উভয়ই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরো দাদপুর গ্রাম এখন এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী হয়ে উঠেছে।
দেবীর মূর্তি উদ্ধারের এই ঘটনা কেবল দাদপুর নয়, গোটা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা একে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ হিসেবেই মানছেন।














