
শিলিগুড়ি নিউজ ডেস্ক:
প্রায় ৩৬ বছর আগে শিলিগুড়ি পেয়েছিল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের এক নতুন সম্পদ। কলকাতার নন্দনের পর বাংলার দ্বিতীয় “নন্দন” হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিল শহরের মাঝখানে অবস্থিত দীনবন্ধু মঞ্চ। সরকারি এই প্রেক্ষাগৃহ একসময় জনপ্রিয়তার এমন শিখরে পৌঁছেছিল যা শিলিগুড়ির তাবড় সমস্ত বেসরকারি সিনেমা হলগুলিকেও হার মানাত।
দীনবন্ধু মঞ্চে একের পর এক বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি চলচ্চিত্র মুক্তি পেত। সেই সাথে অনুষ্ঠিত হত নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিদের উপস্থিতি জমজমাট করে তুলত এই প্রেক্ষাগৃহের অন্দরমহল। টিকিটের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যেই থাকত, ফলে পরিবার সহ বহু দর্শক সহজেই উপভোগ করতে পারতেন সিনেমার আসর।
সোনালি সময় পেরিয়ে ম্লান বর্তমান
যদিও এক সময় জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী ছিল, বর্তমানে সেই গৌরবময় দিনগুলি যেন অনেকটাই ফিকে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স ও অন্যান্য ওটিটি মাধ্যম হাতে নেওয়ার পর দর্শকদের সিনেমা হলমুখী হওয়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। দীনবন্ধু মঞ্চের কর্মরত আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, দর্শক সংখ্যা এতটাই নগণ্য যে নিয়মিত সিনেমা প্রদর্শন করাটাই ঝুঁকির পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।
নবরূপে ফিরে আসা, তবুও চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে
রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় দীনবন্ধু মঞ্চ ও তথ্যকেন্দ্র নবীকরণ করা হলেও কাঙ্খিত দর্শকপ্রবাহ এখনও ফিরে আসেনি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, আবার কি আগের গৌরব ফিরে পাবে শিলিগুড়ির অতি প্রিয় এই প্রেক্ষাগৃহ?
দায়িত্ব শিলিগুড়িবাসীর
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার প্রশ্নে শিলিগুড়ির মানুষের আবেগ নিঃসন্দেহে দীনবন্ধু মঞ্চের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঠিক কোথা থেকে নতুন করে পথচলা শুরু করতে হবে তা হয়তো স্পষ্ট নয়, তবে এই মঞ্চকে আবার প্রাণবন্ত করে তোলার দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়িবাসীর হাতেই।
শিলিগুড়ির এই ঐতিহ্য কি আবার ফিরে পাবে পূর্বের সম্মান ও জনপ্রিয়তা? উত্তর খুঁজছে শহর, সময় এবং সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ।














