
মঞ্চে বক্তৃতা রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিএমসিপি-র মেয়ো রোডের জনসভাযর মঞ্চ থেকে আগুন ঝরানো বক্তৃতা বক্তিতা তৃণমূলনেত্রীর। নিজের জীবনের ছাত্র রাজনীতির কথা তুলে ধরলেন মঞ্চ থেকে।
ছাত্র-ছাত্রীদের জতির ভবিষ্যৎ হিসেবে অভিহিত করে ছাত্রদের জন্য টিএমসির বেশ কিছু প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরলেন। বললেন, সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে আমরা সবুজসাথী প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ৫৩ লক্ষ পড়ুয়াকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে মোবাইল দেওয়া হয়েছে। “স্টুডেন্ট্স ক্রেডিট কার্ড’-এর আওতায় ৯২ হাজার ছাত্রছাত্রী সুবিধা পাচ্ছেন”।

এইদিন ইউজিসির অনুদান বন্ধ নিয়ে সুর চরাতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা বলেন, “গবেষকদের ইউজিসি গ্র্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ করে গবেষকদের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সবটা তো আমাদের লোক থাকেন না। বিভিন্ন জায়গার লোক থাকেন। কেউ কেউ দুষ্টুমি করে, আমরা মিষ্টিমি করি দুষ্টুমি করিনা।”
পাশাপশি এইদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, “ইলেকশন আসলেই দেখবেন এজেন্সির দাপাদাপি বাড়ে। একটা এজেন্সি নয়। আগে কখনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিজেপি করত না। কোনও রাজনৈতিক দল করত না।”

এইদিন মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো আরও একবার কমিশনকে SIR নিয়ে নিশানা করে বললেন, ‘‘যতই চক্রান্ত করে কোনও লাভ হবে না। ৫০০ টা টিম নিয়ে এসেছে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করার জন্য। নাম বাদ দিয়ে দেবে। কাউকে সব ডিটেলস দেবে না।’’
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভা থেকে ‘বেঙ্গল ফাইলস’ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার ইতিহাস ভুলে গিয়েছে এরা। মগজে মরুভূমি। বাংলার বদনাম করার জন্য সিনেমা বানাচ্ছে টাকা দিয়ে।”

মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে যোগ করেন, “ক্ষুদিরাম বসুকে ছবিতে বলে দিল ‘সিং’। সে যখন ফাঁসির মঞ্চে গান গাইল তখন তোমরা কোথায় ছিলে বাম-রাম-শ্যামেরা? জগাই, মাধাইরা? তোমাদের পূর্বপুরুষরা তো ব্রিটিশের দালালি করেছিল। তারপর মুচলেকা দিতে হয়েছিল।”

এদিন মমতা আরও বলেন, “ললিপপ সরকার এসডিওদের ভয় দেখাচ্ছে ডি এম দের ভয় দেখাচ্ছে, এইভাবে কতদিন চলবে? যত দুর্নীতির ভান্ডার আছে সব ফাঁস করে দেব”। “যেমন আমাদের কাছে লক্ষ্মীর ভান্ডার আছে যেমন আপনাদের দুর্নীতির ভান্ডার ও আছে খুলে দেবো”, বলে হুংকার ছাড়লেন মমতা।














