
উত্তরাখণ্ডে ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নেমে এসেছে ধস। চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, তেহরি ও বাগেশ্বর জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ধসের ফলে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। কাদা ও পাথরের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬ জন সাধারণ মানুষ। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১১ জন, যাঁদের খোঁজে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ ও স্থানীয় প্রশাসন। বহু গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, রাস্তাঘাট ভেসে গিয়েছে বন্যার জলে। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু এলাকায়। এর আগে গত ২৩ অগস্ট থরালি অঞ্চলে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

এ বছর বর্ষার শুরু থেকেই উত্তরাখণ্ডে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসন বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে পরপর দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির আর্থসামাজিক অবস্থা আরও ভেঙে পড়ছে। পাহাড়ি রাজ্যে বৃষ্টির প্রকোপ রুখতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগের দাবিও উঠছে প্রবলভাবে।


















