
শোভাপুরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চাঞ্চল্য।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো, আবাসনের একটিও ফায়ার এক্সটিংগুইশার কার্যকর ছিল না—সবগুলির মেয়াদ অনেক আগেই পেরিয়ে গিয়েছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে রিফিল বা রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। ফলে আগুন লাগার মুহূর্তে তা নেভানোর কোনো প্রাথমিক ব্যবস্থা ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা অসহায় হয়ে পড়েন এবং দমকল আসার আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ওঠে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুরে। হঠাৎ একটি ফ্ল্যাটে বিকট শব্দ শোনা যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা তলা। সেই ফ্ল্যাটে থাকতেন চিকিৎসক অনুরাণ ভাদুড়ি, যিনি তখন হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি জানান, “হাসপাতালে থাকাকালীন খবর পাই আমার ফ্ল্যাটে আগুন লেগেছে। এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে—নথি, আসবাব, কিছুই রইল না। মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।”

খবর পেয়ে দুর্গাপুর দমকলের দুটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং প্রায় ২৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকলের সাব-অফিসার পূর্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “জলের সরবরাহ না থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল, তবে হতাহতের খবর নেই। এক্সটিংগুইশারগুলির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় বড় প্রশ্ন উঠেছে—আবাসনে নিয়মিত অগ্নি-নিরাপত্তা পরিদর্শন আদৌ হয় কি না, এবং মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কতটা দায়িত্বশীল। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়ম মেনে ফায়ার সেফটি চেক প্রায় হয়ই না।














