
উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনেই বিভ্রান্তির শিকার হলেন ভেদিয়া হাই স্কুলের ছাত্রী সেলিমা খাতুন। এবছর পরীক্ষাগুলি সেমিস্টার ভিত্তিক হওয়ায় কেন্দ্র পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু সেলিমা ভুল করে নিজের স্কুলেই পৌঁছে যান।
তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বর্ধমানে ছিলেন। সকালে বাড়ি ফিরে সেলিমা তাড়াহুড়ো করে নিজের স্কুলে চলে যান, যেখানে পৌঁছে জানতে পারেন তার প্রকৃত পরীক্ষা কেন্দ্র গুসকরা বালিকা বিদ্যালয় — যা প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে।
হতভম্ব সেলিমার পাশে তখন দেবদূতের মতো এসে দাঁড়ান আউসগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শেখ আবদুল লালন। তিনি তৎক্ষণাৎ নিজের গাড়িতে করে সেলিমাকে গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেন, ফলে সেলিমা থার্ড সেমিস্টারের প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।
এই ঘটনাটি শুধু মানবিক সহায়তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নয়, বরং পরীক্ষার দিনেও কিভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত ও সহানুভূতি একজন ছাত্রীর ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে পারে, তারও নিদর্শন।















