
উত্তরবঙ্গের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে হামলার শিকার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অভিযোগ, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী তাঁদের ওপর চড়াও হয়। ঘটনাটি সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, “মানবতার কাজ করতে গিয়েও এখন আর রেহাই নেই। পুলিশের সামনেই বিজেপি সাংসদ-বিধায়কের ওপর হামলা হলেও প্রশাসন নির্বিকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে চলছে সন্ত্রাসের রাজনীতি।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে সিউড়ি ৩ মন্ডলের অন্তর্গত লাউজোড়ে বিজেপির উদ্যোগে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় এক প্রতিবাদ অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বীরভূম জেলা নেতৃত্ব ও মন্ডল নেতৃত্ব। বিজেপি কর্মীদের হাতে ছিল নানা প্রতিবাদী ফেস্টুন ও ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল “তৃণমূলের সন্ত্রাস বন্ধ করো”, “মানবতার কাজে বাধা নয়”। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতৃত্বরা অভিযোগ করেন, রাজ্যে গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।
বক্তারা আরও বলেন, “উত্তরবঙ্গের দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমাদের সাংসদ-বিধায়কের ওপর হামলা প্রমাণ করে, রাজ্য সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে। আমরা এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামব, যতদিন না বাংলায় প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরছে।”
একই সঙ্গে রাজনগরেও এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। সকাল থেকেই স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নামে এবং সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজনগর মন্ডলের নেতৃত্ব ও জেলা কমিটির সদস্যরা।
বিজেপি নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের রাজনৈতিক হামলা ও প্রশাসনিক উদাসীনতার বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক, প্রতিটি গ্রামে তারা আন্দোলন জোরদার করবে। তাঁদের কথায়, “বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক কর্তব্য কিন্তু তৃণমূল সরকার মানবতাকেও এখন রাজনীতির মোড়ে টেনে এনেছে।”
বিজেপির এই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে আগামী দিনে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।














