
গুজরাটের রাজনীতি থেকে পরস্পরের বিশ্বস্ত ও আশাবাদী সঙ্গী তাঁরা । প্রধানমন্ত্রীর ডান হাত বলেও দাবি করেন অনেকে। সেই শাহ সম্পর্কে এবার মোদীকে সাবধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এত ভরসা করা উচিত নয় প্রধানমন্ত্রীর । একদিন এই “শাহ” মীরজাফর হয়ে উঠতে পারেন।
বিহারের পর এবার বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন বা SIR-এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে সেই নিয়ে CEO দপ্তরে দফায়-দফায় বৈঠকও হয়েছে। আগামী ১১ থেকে ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। সেই নিয়েও এদিন মুখ খুলতে দেখা গেলো মুখ্যমন্ত্রীকে।
এইদিন তিনি বলেন, “মিটিং করে এসে ওদের নেতা বলেন, ‘বাংলায় কয়েক লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেব’। বিপর্যয়, বর্ষণ, উৎসবের মধ্যে এসব বলছে। ১৫ দিনের মধ্যে SIR হয়ে যাবে? কী মনে করে ওরা? কমিশন কি বিজেপি দলটার? না কি গণতান্ত্রিক, নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিতকরণেই তৈরি কমিশন?”
এরপর সরাসরি শাহকে নিশানা করে মমতা বলেন , “গোটাটা অমিত শাহের খেলা।” উনি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর মতো কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী সব জানে। সর্বদা শাহকে বিশ্বাস করবেন না। একদিন উনি আপনার বড় মীরজাফর হয়ে যাবেন। সময় থাকতে সাবধান হোন।”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন , যেভাবে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে আটকানো হয়েছে ,দলের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়, তার তীব্র নিন্দা করেন তিনি । ওড়িশার প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মমতা বলেন, “ওড়িশা জ্বলছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। দাঙ্গা করেছে বিজেপি নিজে। বজরং দল, কী নাম সব! এরা দেশটাকে শেষ করে দেবে।
তিনি এও বলেন, এমন অহংকারী , স্বৈরাচারী সরকার তিনি দেখেন নি । প্রধানমন্ত্রীর মনে রাখা উচিত, চিরকাল কিছুই থাকে না। আজ ক্ষমতায় আছে কাল থাকবে না।
এছাড়াও উওরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও তিনি আক্রমণ শানান কেন্দ্রকে। তিনি দাবি করেন , বাজেটে বাংলার বন্যার জন্য একটি টাকাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। কিন্তু নির্বাচনী মরশুমে রাজ্যে এসে বড় বড় ভাষন দিয়ে যান বিজেপি নেতা-নেত্রীরা ।
এও বলেন, শুধু তাই নয়, বিপর্যয়ের সঙ্গে উত্তরবঙ্গে বিমানের ভাড়া একধাক্কায় ১৮ হাজার করা হল কোন যুক্তিতে, এদিন প্রশ্ন তোলেন মমতা। নির্বাচনমুখী বিহারে ছটপুজোয় যেখানে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেই সময় উত্তরবঙ্গ থেকে কেন চড়া ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।

















