
পরের বছরেই বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে, তার আগে রাজ্যের অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের পরিস্থিতি তুলে ধরলেন। এছাড়াও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি , সেই আবহে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ ঘিরে নানা জল্পনা দেখা দিয়েছে। রাজ্যপাল জানান , রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল । তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এভাবে চলতে পারে না”।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মধ্যে ভিন্নমত থাকে। রাজ্যপাল হিসেবে সবকিছু বিবেচনা করে দেখা উচিত, মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে তবেই কিছু সুপারিশ করা উচিত রাজ্যপাল হিসেবে কী সুপারিশ করব, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান । তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত এবং পেশাগত সম্পর্ক আলাদা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা আছে আমার। ওনার সঙ্গে পেশাদার যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে, আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি আছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ও আছে।”
রাজ্যের পুলিশ ঠিক মতো কাজ করছে না বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে মমতার সঙ্গে কথা বলেও জানান। অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করা হলে, সংবিধান মেনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এমনটাও জানান তিনি।
আগামী দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক-সহ আর যেখানে যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন যাবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল । উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় পরিস্থিতি নিয়েও নিজের মতামত তুলে ধরেন তিনি। রাজনৈতিক দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপে না গিয়ে, পরিস্থিতি মোকাবিলার রাস্তা খুঁজতে হবে বলে জানালেও, বিপর্যয় নিয়েও রাষ্ট্রপতিকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তা জানাতে ভোলেননি।
তবে রাজ্যপালের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ” উনি রাজনীতিতে গা গরম করছেন।” কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জনের মতে, সমস্যা দেখলে রাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত রাজ্যপালের।

















