
সন্দেহজনক গতিবিধি হওয়ায় প্রৌঢ় শিক্ষকে গ্ৰেফতার করল পুলিশ। পরে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তার ব্যাগে একটি এয়ারগান ছিল। বৈধ কাগজপত্র তিনি পুলিশকে দেখিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন এক শিক্ষক । জানা গেছে, তাঁর কাছে ছিল এয়ারগান। সন্দেহজনক গতিবিধি হওয়ায় পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে অবশ্য প্রৌঢ়কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রের জন্য বৈধ কাগজপত্র তিনি পুলিশকে দেখিয়েছেন।
সূত্রের খবর, ধৃত ব্যাক্তির নাম দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ৫১ বছর বয়সী সল্টলেক নিবাসী দেবাঞ্জন লিলুয়ার এক স্কুল শিক্ষকতা করেন। এছাড়া তিনি শ্রীরামপুরের রাইফেল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানান, এয়ারগান ছিল তার কাছে। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে গ্ৰেফতার করেন। পরে অবশ্য জিঞ্জাসা করে ছেড়ে দেওয়া হয় ।
দেবাঞ্জন জানান, তিনি দুটি আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের পিস্তল দেখান। তাঁর দাবি , ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমার কিছু আর্জি ছিল। এয়ারগান জমা দিয়েই গাড়ি থেকে নেমেছিলাম। তবু অকারণে আটকানো হয়। যদিও কেউ আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। কিন্তু ছ’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে হেনস্থা তো হয়েছেই।’’
কি এমন আর্জি যার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা? তিনি বলেন, তার পিতৃ বিয়োগ হয়েছে গত মার্চে। তিনি রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন। কিন্তু এখনও তিনি প্রকল্পের টাকা পাননি। বারবার ই তাকে নবান্ন থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। সে কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। তার আরোও একটি আর্জি ছিল তবে সেটা পরিষ্কার করে জানান নি তিনি।
এটা তার প্রথম সাক্ষাৎ নয় এর আগেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি গেছিলেন। ২০২৫ এর মার্চ মাসে তিনি কালীঘাটে যান এসএসকেএম হাসপাতালে একটি আসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি নিয়ে। তবে সে বার তাকে পথেই আটকানো হয়েছিল।














