
মহঃ সফিউল আলম, রাজনগর, বীরভূম: কাশ্মীরে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন বীরভূমের রাজনগরের কুন্ডিরা গ্রামের সেনা জওয়ান সুজয় ঘোষ। শনিবার তাঁর কফিনবন্দি দেহ আনা হয় গ্রামে। গ্রামের মাঠে হাজার হাজার মানুষ শেষবারের মতো দেখতে ভিড় জমান, স্লোগানে মুখরিত হয় চারদিক “বীর শহীদ সুজয় ঘোষ অমর রহে”।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদের দেহবাহিনী নিয়ে আসা হয় এবং সামরিক মর্যাদায় তাঁকে অভিবাদন জানানো হয়। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও শহীদকে শ্রদ্ধা জানান। উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, স্থানীয় বিধায়ক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে আশপাশ এলাকার সাধারণ মানুষ সকলেই শোকাহত।

গ্রামের মাঠে শহীদের দেহ পৌঁছতেই কান্নার রোল ওঠে। চোখের জলে ভেসে যায় সুজয় ঘোষের পরিবার। মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা ও আত্মীয়রা। গ্রামের প্রতিবেশীরাও শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েন। তাঁদের কথায় “ছেলেটা ছোট থেকেই সাহসী ছিল। দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজের জীবন দিল। ওর মতো ছেলে গ্রাম, জেলা তথা দেশের গর্ব।”
উল্লেখ্য, রাজনগর ব্লকের ভবানীপুর অঞ্চলের কুন্ডিরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন সুজয় ঘোষ। সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে কাশ্মীরে ডিউটিরত অবস্থায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি প্রাণ হারান। সেই খবর পাওয়ার পর থেকেই গ্রামে নেমে আসে গভীর শোক।

এদিন গ্রাম জুড়ে এক অনির্বচনীয় আবহ তৈরি হয় শহীদের শেষ যাত্রাকে কেন্দ্র করে। সেনা বাহিনী থেকে সরকারি মর্যাদা দেওয়া হয় তাঁকে। হাজারো মানুষ শেষ বিদায় জানাতে এসে প্রমাণ করলেন, সুজয় ঘোষ শুধু কুন্ডিরা গ্রামের নয়, গোটা বীরভূম তথা বাংলার গর্ব হয়ে থাকবেন চিরকাল।














