
উত্তরবঙ্গ , ১৪ অক্টোবর: মা-মাটি-মানুষের সরকারের মূল প্রতিপাদ্য “আর্তের সেবা ও দুঃস্থের আশ্রয়” বাস্তবায়নে পশ্চিমবঙ্গ সরকার উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর নিরবচ্ছিন্ন ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ৪ ও ৫ অক্টোবরের অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের পর মুখ্যমন্ত্রী টানা তৃতীয় দিন মিরিক সফর করে পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যালোচনা করেন।
এর আগে তিনি আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা ও জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ও বিভাগীয় প্রধানরা। ধূপগুড়ি ও ময়নাগুড়ির পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখে স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
মিরিকে ভূমিধসে স্বজন হারানো পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। সুখিয়া পোখরিতে চারজন মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার অনুদান এবং তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে ১০টি ‘স্পেশাল হোম গার্ড’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।
কার্শিয়াং থেকে মিরিক পর্যন্ত পূর্ত দফতরের পুনর্গঠন কাজ নিজে পর্যবেক্ষণ করেন এবং ঘোষণা করেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাড়ির পুনর্নির্মাণে ১.২ লক্ষ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
নথিপত্র পুনরায় ইস্যু ও ছাত্রছাত্রীদের বই বিতরণের জন্য বিশেষ আউটরিচ ক্যাম্প চালু হয়েছে। জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে ২৪×৭ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ চলছে।
জনস্বাস্থ্য, পূর্ত, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, সেচ, প্রাণীসম্পদ ও বনদফতর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিচ্ছে, যাতে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়। আগামীকাল জিটিএ সদর দফতরে মিরিক, কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।














