
বর্ধমান, ১৮ অক্টোবর : যাত্রী সুরক্ষা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিল পূর্ব রেল। সম্প্রতি বর্ধমান জংশন রেলস্টেশনের ফুট ওভারব্রিজে হুড়োহুড়ি এবং যাত্রীদের উভয় দিক থেকে ছোটাছুটি করার ফলে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সুবিধার জন্য কোন লোকাল কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে, তার নির্দিষ্ট রূপরেখা প্রকাশ করেছে পূর্ব রেল।
এবার থেকে যাত্রীদের আর শুধু অ্যানাউন্সমেন্টের উপর নির্ভর করতে হবে না। আগে থেকেই জানা থাকবে কোন ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে। এর ফলে যাত্রীরা নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে গিয়ে আগে থেকেই অপেক্ষা করতে পারবেন এবং হুড়োহুড়ি বা একসঙ্গে ভিড় জমে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন লাইনের ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে…
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বর্ধমান জংশন রেলস্টেশনে নতুন নিয়ম অনুযায়ী ।
৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে বর্ধমান–হাওড়া কর্ড লাইনের লোকাল ট্রেনগুলো।
৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম নির্ধারিত হয়েছে বর্ধমান–হাওড়া মেন লাইনের সমস্ত লোকালের জন্য।
৬ এবং ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে পাওয়া যাবে আসানসোল ও রামপুরহাট লাইনের লোকাল ট্রেন।
৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আগের মতোই ছাড়বে কাটোয়া লোকাল।
এই বিভাজনের ফলে যাত্রীদের জন্য বিভ্রান্তি কমবে এবং প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের জন্য আর ফ্লাইওভার ব্রিজে ভিড় জমবে না।
বর্ধমান জংশন পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেল সংযোগস্থল। এখান থেকে হাওড়া, আসানসোল, রামপুরহাট এবং কাটোয়ার দিকে নিয়মিত অসংখ্য লোকাল ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই রেলস্টেশন ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত যাত্রীচাপ এবং প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের কারণে প্রায়ই ভিড়ের সমস্যা তৈরি হয়।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই নতুন নিয়মে অনেকটা স্বস্তি মিলবে। আগে ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্মে আসবে তা শেষ মুহূর্তে জানা যেত। ফলে যাত্রীদের ভিড় জমে যেত ফুট ওভারব্রিজে। অনেক সময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হতো। এবার সেই পরিস্থিতি আর হবে না।
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী সুরক্ষাই তাদের প্রথম লক্ষ্য। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বর্ধমান জংশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং যাত্রীরা আরও নিরাপদে ট্রেন ধরতে পারবেন। যাত্রী সংখ্যা যেহেতু অত্যন্ত বেশি, তাই এই নিয়ম যাত্রী সুরক্ষায় এক বড় মাইলফলক হয়ে উঠবে বলেই আশা রেলের।
এই উদ্যোগের ফলে ভবিষ্যতে বর্ধমান জংশনে আর পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলে দৃঢ় আশাবাদী রেল কর্তৃপক্ষ।














