
শিলিগুড়ি: প্রশাসনের কড়া নির্দেশ এবং একাধিক বৈঠকের পরও শিলিগুড়িতে টোটো চলাচল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। নাম্বারবিহীন টোটো চলাচল নিষিদ্ধের নির্দেশ জারি হলেও শহরের মূল এলাকাগুলিতে অবাধে চলছে টোটো। বিশেষ করে হাসপাতাল, নার্সিংহোম এবং ব্যস্ততম মোড়গুলিতে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকায় বাড়ছে যানজট। প্রতিদিনই যানবাহনের চাপ সামাল দিতে বিপাকে পড়ছে পুলিশ প্রশাসন।
টোটো চালকদের দাবি, পেটের দায়ে তাঁদের রাস্তায় নামতে হয়। কেউ অসৎ পথে না গিয়ে শ্রম করে উপার্জন করছেন, তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ অনুচিত। যদিও বিশেষজ্ঞদের মত, টোটো, অটো এবং রিকশার নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলই শহরের ট্রাফিক সমস্যাকে চরমে পৌঁছে দিচ্ছে।
সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার ধারণ করে। শহরের রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল করা দুষ্কর হয়ে ওঠে। যানজটের জেরে সময় নষ্টের পাশাপাশি বাড়ছে ভোগান্তি। শিলিগুড়ি পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলিতে বারবার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও বাস্তবে শহরের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত।
এর পাশাপাশি দ্রুত বাড়ছে দুই চাকার যানবাহনের সংখ্যা। পুরুষদের পাশাপাশি এখন সমতালে মহিলারাও বড় সংখ্যায় দুই চাকার গাড়ি চালাচ্ছেন। ছোট শহর শিলিগুড়ি ক্রমশ আরও ব্যস্ত হয়ে উঠছে। যানবাহনের চাপ ক্রমবর্ধমান হওয়ায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
শহরবাসীর প্রশ্ন, শিলিগুড়ির ট্রাফিক বিশৃঙ্খলার সমাধান কে করবে এবং কিভাবে এই সমস্যা কমবে। প্রশাসনের সামনে তাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ শহরের পথচলাকে স্বস্তিদায়ক করে তোলা এবং নিয়ন্ত্রিত টোটো চলাচল নিশ্চিত করা।














