
পূর্ব বর্ধমান: বিহার থেকে বর্ধমানে একসঙ্গে ৫৫টি বাইক আসাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমান স্টেশন চত্বরে। শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা এই ঘটনাকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে তুলে ধরে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে, আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যকে অশান্ত করার চক্রান্ত শুরু করেছে বিজেপি।
বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস অভিযোগ করেন, গতকাল গভীর রাতে বিহার থেকে বর্ধমান শহরে ৫৫টি বাইক প্রবেশ করে। তাঁর দাবি, ওই বাইকগুলি বর্ধমান শহরের বিজেপি নেতা সুনিল গুপ্তার নামে এসেছে। পাশাপাশি, আজ সেই বাইকগুলি সরবরাহ ও বিতরণের দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি নেতা খোকন সেন এমনই অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের।

খোকন দাস আরও বলেন, “২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় গোটা বাংলাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তখনও বাইরের রাজ্য থেকে লোক এনে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এবার ২০২৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের একই ছক কষা হচ্ছে। প্রথমে বিহার থেকে বাইক আনা হচ্ছে, তারপর বিহারের গুন্ডারা এসে বাংলাকে অশান্ত করবে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সেই চেষ্টাকে কোনওভাবেই সফল হতে দেবে না।”
বিধায়কের দাবি অনুযায়ী, এই বাইকগুলি বিহারের রাজেন্দ্র নগর এলাকা থেকে পাঠানো হয়েছে এবং গন্তব্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে বিজেপির জেলা অফিসের ঠিকানা। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এর পিছনে কোনও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং পরিকল্পিত অশান্তি তৈরির উদ্দেশ্য রয়েছে।

এই অভিযোগকে ঘিরে বর্ধমান স্টেশন চত্বরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা স্লোগান তোলেন এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, নির্বাচনের মুখে এ ধরনের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে রাজ্যের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, এবং এই বাইক আনার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী তা নিয়ে এখন তীব্র কৌতূহল তৈরি হয়েছে বর্ধমান সহ গোটা রাজ্য জুড়ে।

















