
হংসেশ্বরী মন্দির, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়ায় অবস্থিত একটি অনন্য রত্নশৈলীর হিন্দু মন্দির। এর প্রধান দেবী মা হংসেশ্বরী, আদ্যাশক্তি জগৎজননী কালী রূপে পূজিত হন ।
• মন্দিরের নির্মাণ শুরু করেন রাজা নৃসিংহদেব রায় মহাশয় ১৭৯৯ সালে, কিন্তু ১৮০২ সালে তাঁর মৃত্যুর পর কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। পরবর্তীতে তাঁর স্ত্রী রানি শঙ্করী ১৮১৪ সালে মন্দিরটি সম্পূর্ণ করেন ।
• রাজা নৃসিংহদেব বেনারসে অবস্থানকালে কুণ্ডলিনী যোগ এবং ষটচক্র তন্ত্র নিয়ে গভীরভাবে অধ্যয়ন করেন। সেই জ্ঞান অনুসারে মন্দিরের স্থাপত্যে মানবদেহের পাঁচটি নাড়ি—ইড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্না, বজ্রাক্ষ ও চিত্রিণী—প্রতিফলিত হয়েছে ।
• মন্দিরে রয়েছে ১৩টি রত্নাকৃতি মিনার, প্রতিটি মিনার একটি পদ্মকলি আকৃতির, যা তান্ত্রিক স্থাপত্যের প্রতীক ।
• গর্ভগৃহে দেবী হংসেশ্বরীর নীম কাঠের চতুর্ভুজা মূর্তি প্রতিষ্ঠিত, যা কালী রূপে পূজিত হন ।
• মন্দিরের অভ্যন্তরীণ গঠন একটি মানবদেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো, যা তন্ত্রসাধনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত ।
• মন্দিরের নির্মাণে ব্যবহৃত পাথর এসেছে উত্তরপ্রদেশের চুনার অঞ্চল থেকে, এবং রাজস্থানের কারিগররা নির্মাণকাজে অংশগ্রহণ করেন ।
• মন্দিরে নিত্যপূজা ও অন্নভোগ হয়, এবং প্রতি ১২ বছর অন্তর দেবীর অঙ্গরাগ অনুষ্ঠিত হয় ।
• ১৮২০ সালে একবার দেবীর অলঙ্কার চুরি হয়েছিল, পরে মন্দিরটি আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে আসে ।
• কালীপূজার দিন সন্ধ্যায় দেবী রাজবেশে সজ্জিত হন, রূপোর মুখোশ ও সোনার জিভ পরানো হয়, যা তান্ত্রিক পূজার বিশেষ অংশ ।















