
আজ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে ৬০তম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ১৯৬৬ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো সাক্ষরতার গুরুত্ব অনুধাবন করে ৮ই সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনটি শুধু একটি দিবস নয়, বরং শিক্ষার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
অতীতে পৃথিবীজুড়ে নিরক্ষরতার যে গভীর ছায়া ছিল, তা আজ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার প্রসার সাক্ষরতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
তবে বর্তমান সমাজে যে নিরক্ষর জনগোষ্ঠী এখনও রয়ে গেছে, তার পেছনে প্রধানত অর্থনৈতিক কারণ কাজ করছে। রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পর্যাপ্ত মনোযোগের অভাবে এই জনগোষ্ঠী এখনও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।
তাই এখনই সময়—এই অবশিষ্ট নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে দ্রুত শিক্ষার আওতায় আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার। কারণ, অশিক্ষা শুধু ব্যক্তিগত নয়, সমাজ ও সভ্যতার জন্যও অমঙ্গল বয়ে আনে।
সাক্ষরতা শুধু বই পড়া শেখার নাম নয়, এটি পরিবেশ সচেতনতা, সামাজিক দায়িত্ব এবং মানবিক মূল্যবোধ গঠনের ভিত্তি। পৃথিবীর সবুজ বন-জঙ্গল রক্ষা করতেও সাক্ষরতার ভূমিকা অপরিহার্য।
পৃথিবীর মঙ্গল মানেই আমাদের সকলের মঙ্গল। তাই সাক্ষরতার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে প্রতিটি কোণে, প্রতিটি প্রাণে।















