
নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে তরুণ-তরুণীদের তুমুল প্রতিবাদ গোটা শহরকে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। সরকার ঘোষিত কার্ফু ভেঙে তারা সংসদ ভবনে হানা দিয়েছে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
প্রতিরোধ মিছিল ও জনরোষকে দমন করতে সরকার রাস্তায় সেনা মোতায়েন করেছে। মিছিলের উপর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে এবং পুলিশের গুলিতে ইতিমধ্যেই ১৪ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনা নেপালের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসন্তোষের সঙ্গে যুক্ত। তরুণরা চাকরি, সুযোগ, শিক্ষা ও নীতি-পরিবর্তনের দাবিতে সোচ্চার হলেও তাদের দাবি দীর্ঘদিন মীমাংসিত হয়নি। ফলে তাদের ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে এই প্রতিবাদ মঞ্চে এসেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও এই অস্থির পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে কভার করছে। নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যার মূল কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও তরুণ প্রজন্মের হতাশা। এখন প্রয়োজন সংলাপ, কূটনৈতিক উদ্যোগ এবং সমাজ ও সরকারের মধ্যে সমন্বয়, যাতে অস্থিরতা দ্রুত শিথিল হয়। নেপালের ভবিষ্যত স্থিতিশীল রাখতে এখনই প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ সমাধান।

















