
নতুন শুল্ক নিয়ম থেকে সাময়িক অব্যাহতি মিললেও, পাইলট তালিকা সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ সমস্যার জেরে শনিবার ইন্ডিগো চারটি প্রধান বিমানবন্দরে একযোগে ৪০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়। হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিমান পরিষেবা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমান সংস্থাটি ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছে, ফেরত টাকার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আটকে পড়া যাত্রীদের সহায়তার জন্য বিশেষ হেল্পডেস্ক এবং বিকল্প পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী এই ব্যাপক বিঘ্নের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। কী কারণে আকস্মিকভাবে এতগুলি ফ্লাইট বাতিল হলো, এবং পাইলট তালিকা সংক্রান্ত সেই সমস্যা ঠিক কোথায় সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাগডোগরা এয়ারপোর্টে চরম বিশৃঙ্খলা
ফ্লাইট বাতিলের সরাসরি প্রভাব পড়ে উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ বাগডোগরা এয়ারপোর্টে। সকাল থেকেই একের পর এক ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণায় যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায় কয়েকগুণ। দুপুর নাগাদ প্রায় উপচে পড়ে টার্মিনাল ভবন।
অনেক দূরদূরান্ত থেকে এসে যাত্রীরা যখন জানতে পারেন তাদের ফ্লাইট আর নেই, তখন কেউ কেউ রাগে, কেউ ক্লান্তিতে বসারও জায়গা না পেয়ে মাটিতেই শুয়ে পড়েন। অব্যবস্থাপনা দেখে বহু যাত্রী ক্ষোভ উগরে দেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
অনেকে জানান, “চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বাইরে যেতে হবে। অথচ কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই ফ্লাইট বাতিল করা হলো এটা কীভাবে সম্ভব?” “আমরা ফ্লাইট বাতিলের কোনো মেসেজই পাইনি। এখানে এসে জানতে হলো সব বন্ধ।”
এই পরিস্থিতিতে অনেক যাত্রী বাধ্য হয়ে অনলাইনে তড়িঘড়ি ট্রেনের টিকিট কাটতে শুরু করেন। ফলে এয়ারপোর্টে এক অদ্ভুত চাপের পরিবেশ তৈরি হয়, যা সামলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় কর্মীদের।
অভূতপূর্ব দিনের সাক্ষী বাগডোগরা
বাগডোগরা এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের ভাষায় “গতকালকের দৃশ্য আগে কখনও দেখা যায়নি। টানা ফ্লাইট বাতিল, যাত্রীদের ক্ষোভ, অসহায় পরিস্থিতি সব মিলিয়ে এক বিশৃঙ্খল দিন পার করতে হয়েছে।”
যাত্রীরাও একই অভিজ্ঞতার কথা জানান
“আমরা এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশ বা তথ্য না থাকায় সম্পূর্ণ বিপাকে পড়েছি।”
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চলছে
ইন্ডিগো জানিয়েছে, সমস্যার সমাধানে তারা দ্রুত কাজ করছে এবং ধাপে ধাপে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। যাত্রীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে রিফান্ড, ভাউচার এবং বিকল্প রুটের ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের আশা, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে।


















